অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকার : নাছিমা বেগম
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২০, ৬:০০ অপরাহ্ণনারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবšুব্দ শেখ মুজিবুর রহমান সময়ের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়েছিলেন। বর্তমানে নারীর অধিকার মানবাধিকার হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত হলেও আমরা জানি, যুগ যুগ ধরেই রাষ্ট্র, সমাজ এবং জনজীবনে সুবিধা ভোগের ক্ষেত্রে নারীরা বৈষম্যের শিকার। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য নারীদের প্রতিনিয়তই করতে হয়েছে সংগ্রাম। আশার কথা হলো, দিন দিন মানুষের মাঝে সচেতনতা বেড়েছে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণা-১৯৪৮। জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকারের মহৃল সুর হলো, প্রতিটি মানুষের সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার জš§গত অধিকার। মানুষ হিসেবে এই অধিকার প্রত্যেকের প্রাপ্য, যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। মানবাধিকারের প্রতি বঙ্গবšুব্দর অঙ্গীকার ছিল অবিচল।
সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রে যে ৩০টি অনুচ্ছেদ রয়েছে, তা বিশেল্গষণ করলে দেখা যায়, এর প্রতিটিরই প্রতিফলন রয়েছে আমাদের সংবিধানে। উলেল্গখ্য, জাতিসংঘ কর্তৃক নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ-১৯৭৯ গ্রহণের অনেক আগেই বঙ্গবšুব্দ গণপ্রজাতšস্লী বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সিডও সনদের ১৬টি অনুচ্ছেদে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপে যেসব অনুশাসন দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটি অনুশাসনই বঙ্গবšুব্দর ১৯৭২-এর সংবিধানে বিদ্যমান। সংবিধানের প্র¯øাবনায় সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার রয়েছে। সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মহৃলনীতি হিসেবে জাতীয় জীবনের সর্ব¯øরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার হিসেবে রয়েছে নারী-পুরুষের সমঅধিকার। ২৭ অনুচ্ছেদে সব নাগরিককে আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ২৮(২) অনুচ্ছেদে, রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্ব¯øরে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমতা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সংবিধানে ২৮(৪) উপ-অনুচ্ছেদে বিশেষ বিধানও রাখা হয়েছে।
সাধারণ নির্বাচন ও গণভোটে ভোটদান এবং জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংস্থাগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্ব›িদ্বতার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকার রয়েছে। বঙ্গবšুব্দ সরকারের আমলে নারীর রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশের জন্য সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদে নারীর জন্য জাতীয় সংসদের আসন সংরক্ষিত রাখা হয়। সংরক্ষিত আসনে ১৫ জন নারী সদস্য নিয়ে প্রথম সংসদের যে যাত্রা শুরু, পরবর্তীকালে তা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ জনে উšæীত হয়। এ ক্ষেত্রে ৬৫(২) অনুচ্ছেদের অধীনে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত ৩০০ আসনেও নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবšুব্দ সরকারের মšিস্লসভায় দু’জন নারী মšস্লী ছিলেন। বঙ্গবšুব্দর সেই ধারাকে অব্যাহত রেখে তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমšস্লী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে আরও সুগঠিত করেছেন। সংবিধানের ৯ অনুচ্ছেদের অধীনে স্থানীয় শাসন-সংক্রাšø প্রতিষ্ঠানগুলোর উšæয়নে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে অনুশাসন রয়েছে। এ লক্ষে সরকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
বঙ্গবšুব্দ শুধু রাষ্ট্রীয় ও জনজীবনের নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত ছিলেন এমনটি নয়। তিনি ব্যক্তিজীবনেও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমভাবে নিবেদিত ছিলেন। বঙ্গবšুব্দর অসমাপ্টø আÍজীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, তাঁর পরিবারে নারীর ক্ষমতায়ন ছিল। বঙ্গবšুব্দর মা ও তাঁর ¯স্লী পৈতৃক সম্পত্তির মালিক ছিলেন। ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থের ২২২ পৃষ্ঠায় ডায়েরিতে বঙ্গবšুব্দ উলেল্গখ করেছেন, সরকার যদি ব্যবসা করতে না দেয়, তবে তার বাবা, মা ও ¯স্লীর যে সম্পত্তি আছে, তার আয় থেকে পরিবারের সংসার খরচ ভালোভাবেই চলবে। বঙ্গবšুব্দর এই সরল লিখন থেকে এটাই বোঝা যায় যে, তিনি নারীর আয়কে কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখতেন এবং এর প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি পরিবারের বিভিšæ সিদ্ধাšেøর ক্ষেত্রে ¯স্লী-কন্যার মতামতের মর্যাদা দিতেন। যেমন বঙ্গমাতা ফজিলাতুšেæছা যখন ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনার বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কারাগারে বঙ্গবšুব্দর সঙ্গে পরামর্শ করেন, তখন তিনি সহমত প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘হাসুকে একবার জিজ্ঞেস করে নিও।’ জীবন সাথি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কন্যার মতামতের প্রাধান্য দিতে চেয়েছেন। তাঁর জীবনের চলার পথে বহু বিষয়ে সিদ্ধাšø নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ¯স্লী রেণুর সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। বঙ্গবšুব্দর পারিবারিক জীবনের আদর্শকে অনুসরণ করে যদি আমাদের ব্যক্তিজীবনে স্বামী-¯স্লী-পুত্র-কন্যার পারিবারিক বন্ধন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত রাখতে পারি, তাহলে সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র অনেক কমে আসবে বলে আমার বিশ^াস।
আগে সšøানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে শুধু পিতার নাম ব্যবহার করা হতো। বর্তমান প্রধানমšস্লী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার নামের সঙ্গে মায়ের নাম যুক্ত করে জনজীবনের সব ¯øরে সšøান-সšøতির পরিচয়ের ক্ষেত্রে পিতার নামের সঙ্গে মায়ের নাম উলেল্গখ বাধ্যতামহৃলক করা হয়। সাধারণত নারীরা ঘর-সংসারের কাজে ব্য¯ø থাকেন এবং তাদের এই কাজের কোনো মহৃল্যায়ন করা হয় না। কিন্তু নারী-পুরুষের সমঅংশগ্রহণ ব্যতিরেকে দেশকে উšæত বিশে^ পৌঁছানো সম্ভব নয়। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার জাতীয় নারী উšæয়ন নীতি, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট বা¯øবায়ন করে। নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাফ্ফে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের ১০ শতাংশ সুদে বিনা জামানতে ২৫ লাখ টাকা পর্যšø ঋণ প্রদানের সুযোগ রেখেছে। তৃণমহৃলের নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য তাদের জীবন দক্ষতামহৃলক বিভিšæ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার নারীদের আÍকর্মসংস্থান এবং কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীরা ঘরে বসেই ফিদ্ধল্যান্সার ট্রেনিং গ্রহণ করে আয় করতে পারায় তাদের অর্থনৈতিক সমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মজীবী মায়েদের নিরাপদ মাতৃত্ব ও গর্ভকালীন সময়ে চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য সবেতনে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিশেষ বিধান থাকায় নারীদের কর্মে প্রবেশে বাধা কমে আসছে।
সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদ আলোকে ‘প্রজাতšেস্লর কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে।’ ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদে ‘নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশ যাতে প্রজাতšেস্লর কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, সে উদ্দেশ্যে তাদের অনুক‚লে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না।’ এ বিধানের আওতায় নারীদের বিভিšæ পর্যায়ে নিয়োগের সমসুযোগ থাকার পরও বিশেষ সুযোগ হিসেবে নির্ধারিত কোটায় নিয়োগ পাওয়ায় চাকরি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারেই নারীরা অত্যšø সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। নারীরা নিজ মেধা ও যোগ্যতা বলে প্রশাসনের বিভিšæ উচ্চপদে যেমন সচিব-সিনিয়র সচিব, বিচার বিভাগে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনে স্বীয় যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিভিšæ দপ্টøর-সংস্থাপ্রধান এবং মাঠ প্রশাসনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে সশশ্র বাহিনীতে নারীদের নিয়োগ ছিল অত্যšø চ্যালেঞ্জিং। আজকে নারী মেজর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। শশ্রন্তরক্ষা মিশনে নারীর দায়িত্ব পালন অত্যšø প্রশংসনীয়। সব পেশাতেই নারী দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ অভ‚তপহৃর্ব উšæতি সাধন করেছে। বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য-উপ-উপাচার্য পদে নারীরা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যে, প্রাথমিক শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করেছে। তথ্যপ্রযুক্তিতেও নারীর অংশগ্রহণ আজ দৃশ্যমান। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবšুব্দ ১৯৭২-এর সংবিধানে সুস্পষ্ট বিধান রেখে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের জাতীয় উšæয়ন কর্মকাণ্ড বা¯øবায়নে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার কাজ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের সামাজিক উšæয়নের সব সহৃচকেই নারীর অবদান রয়েছে। আমরা জানি, প্রতি বছর বৈশি^ক জেন্ডার সমতার প্রতিবেদনে নারী ও পুরুষের বৈষম্য এবং বিভিšæ সময়ে বৈষম্য দহৃরীকরণে দেশগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য ও গড় আয়ু, শিক্ষার সুযোগ, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন মহৃলত এই চারটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিশেল্গষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ২০১৯ সালের বৈশি^ক জেন্ডার সমতা প্রতিবেদনে বিশে^র ১৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো এর সেরা অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের নারী-পুরুষ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে গৃহীত কার্যক্রম আজ বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত। বাংলাদেশ আজ উšæয়নের রোল মডেল। এর স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমšস্লী শেখ হাসিনাকে ইউএন ওমেন ‘পল্গ্যানেট ৫০ :৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও গেল্গাবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। প্রধানমšস্লী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ এবং সমগ্র এশিয়া ও প্রশাšø মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষা এবং নারী উদ্যোক্তাদের কর্মকাণ্ড প্রসারে নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয়েছে গেল্গাবাল সামিট অব ওমেন কর্তৃক মর্যাদাপহৃর্ণ ‘গেল্গাবাল ওমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’। কিন্তু এত সব অর্জন সত্তে¡ও সাম্প্রতিককালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে, বাংলাদেশে নারী ও গিু ধর্ষণের চিত্র ভয়াবহ হৃপ ধারণ করেছে। সামাজিক অস্থিরতা এবং মানবিক মহৃল্যবোধের অবয়বের কারণে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশে^ রোল মডেল হলেও ধর্ষণের এই ঘটনা তৃণমহৃল থেকে কেন্দ্র পর্যšø সবার মাঝে এক বিহৃপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এর নিরসনে আইনমৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ‚মিকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি নারীর চলাচল নিরাপদ করার লক্ষ্যে গণপরিবহনে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। অতএব আর বিলম্ব নয়, বঙ্গবšুব্দর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে টেকসই উšæয়নের লক্ষ্যে নারীর অধিকারকে সুসংহত করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বঙ্গবšুব্দর জš§শতবর্ষে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।