ব্রিটিশ ইকনমির ভবিষ্যত : মুকিত চৌধুরী

পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২০, ৬:১০ অপরাহ্ণকরোনার প্রভাবে অর্থনীতি ২০২০ সনের জুন মাসের মধ্যেই সংকোচিত হবে ৩৫.১%, তবে ২০২১ সনের প্রথমার্ধে আবার ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে অফিস অব দি বাজেট রেস্পনসিবিলিটি মনে করে।
ওগঋ মনে করে ব্রিটিশ অর্থনীতি মোট সংকুচিত হবে ৬.৫% এবং বিশ্ব অর্থনীতি হবে এভারেজ ৩%। যেহেতু ব্রিটিশ সরকার ঋণ করেছে ৩৫০ বিলিয়ন পাউন্ড তার অর্থ হলো ১৪% জি ডি পি’র অগ্রিম। যা পুরন করতে হবে ভবিষ্যতে প্রত্যক্ষ্য এবং পরোক্ষ ট্যাক্স আদায়ের মাধ্যমে। এই মান্দার ফলে বেকারত্ব বর্তমান ৩.৯% থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৭.৩% = ১০% অব ওয়ার্কিং পপুলেশন।
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী বলেছেন এই মান্দা হবে গেল ১০০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা তাঁদের স্টাফের বেতন ২০-৩০% কর্তন করতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশীদের বেশীর ভাগ লোকই নিজ নিজ ব্যবসায় জড়িত। অনুমেয় এই শ্রেণীর মানুষ অর্থ কষ্টের মধ্যে পড়বে যার প্রভাব বাংলাদেশের ব্যবসার উপর গিয়ে ভড় করতে পারে।
সম্ভ্যব্য অবস্থায ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের কি করনীয়। মান্দা কারো কপাল খুলে কারো বন্ধ হয়। বাংলাদেশীদের বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ধস নামতে পারে তবে এ থেকে উত্তোলন সম্ভব।
আমি নিজেও একজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ছিলাম দীর্ঘ ২৫ বছর। যেহেতু রেস্টুরেন্ট ব্যবসা মান্দা মুক্ত সেহেতু ব্যবসা ভাল করার কথা। বর্তমানেু অনেক বিভাগে চাকুরী এবং বেতন কাট হচ্চে সেক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মকে কাজে লাগাবার সুযোগ আসবে। অতি উচ্চ রেন্টের রেস্টুরেন্ট ব্যবাসা গুলোকে সহনশীল রেন্টের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে প্রয়োজনে ঐ ব্যবসাগুলো ত্যাগ করতে হবে।
স্টাফের বেতনের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আসতে হবে এবং অতিরিক্ত মুনাফার পরিবর্তে পর্যাপ্ত বিক্রির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। যারা বিশেষ করে পেশা পরিবর্তন করে উবার ট্যাক্সি পেশায় নিয়োজিত তাঁদের বেলায় আদি পেশায় ফেরাই শ্রেয় হবে।
যেহেতু যুক্তরাজ্য শিল্প এবং বানিজ্যের দেশ, যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বুটিক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি করার চেষ্টা করা যেতে পারে। এই মান্দা নতুন বিশ্ব অর্থনীতির দার পুনরায় চালু হবে। এতে বিভিন্ন দেশের জি এস পি বাতিল এবং আমাদানি শুল্ক চালু হবে স্থানীয ব্যবসার প্রসারের জন্য।
মান্দায় ক্যাশ হবে কিং। যদি পাউন্ড হাতে থাকে রেখে দিন কাজে আসবে। করোনা নিয়ে এতো ভঁয়ের কোন কারন নেই। সতর্ক থাকুন লক ডাউন চিরদিনের সমাধান না। আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি করোনার দিন ফুঁড়িয়ে আসছে অচিরেই।