সিলেটে পাওনা টাকা চাওয়ায় হয়রানির শিকার সাংবাদিক
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২০, ৫:২২ অপরাহ্ণসিলেটে অফিস::
পাওনা টাকা চাওয়ায় নানারকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের এক সাংবাদিক। অভিযুক্তরা সাংবাদিকের তথ্যপ্রমাণ চুরি করে নিয়ে গিয়ে বø্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান ও সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রণকেলী উত্তর গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে সেলিম হাসান কাওছার ‘গোলাপগঞ্জের ডাক টুয়েন্টিফোর ডট কম’ অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক। এছাড়াও তিনি দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। তিনি একজন ব্যবসায়ীও। গোলাপগঞ্জ থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী একটি বাসায় দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউপির বসন্তপুর গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে পারভেজ আহমদ ও তার খালাতো ভাই ইমন আহমদ। এর সুবাদে ওই সাংবাদিকের সাথে তাদের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাংবাদিক কাওছার তার ‘গোলাপগঞ্জের ডাক টুয়েন্টিফোর ডট কম’ অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ আপলোড করার দায়িত্ব দেন পারভেজ ও তার খালাতো ভাই ইমনকে। কাওছার তাদেরকে তার ব্যক্তিগত মূল্যবান জিনিসপত্র ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তারা ‘গোলাপগঞ্জের ডাক টুয়েন্টিফোর ডট কম অনলাইন নিউজ পোর্টালের অফিসসহ মোবাইলের মাধ্যমে নিউজ আপলোড দিত। বিভিন্ন সময় তারা কাওছারের কাছ থেকে টাকাপয়সা ধার নিত।
অভিযোগে বলা হয়, সাংবাদিক কাওছার গত বছরের শেষের দিকে পাওনা টাকার জন্য তাদের চাপ দিলে তারা নানা টালবাহানা করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা হুমকি দেয় যে, তাদের কাছে কাওছারের ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। টাকার জন্য বাড়াবাড়ি করলে তারা কাওছারের প্রতিপক্ষের কাছে এসব তুলে দেবে। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে তারা দুজনই ওই সাংবাদিকের প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে অফিসে আসা বন্ধ করে দেয়। তাদের হুমকির পর ওই সাংবাদিক কাওছার অফিস খুলে দেখেন অফিসে থাকা মূল্যবান জিনিষপত্র ও কম্পিউটারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ তারা নিয়ে গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক কাওছার গোলাপগঞ্জ থানায় ওই দুজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগটি এসআই খাঁন জালাল তদন্ত করছেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১০ মার্চ অফিসে যাওয়ার সময় অন্য লোকজনসহ কাওছারের ওপর হামলা চালায়। তারা মামলা তুলে না নিলে অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার হুমকি দেয়। পরে রাস্তায় থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এদিকে কাওছার হোসেনের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে দুটি আইডি খোলা হয়েছে। এসব ব্যাপারে কাওছার গত ৭ মে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।