ডিজিটাল মামলায় সাংবাদিক সুশান্তের জামিন নাকচ
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০২০, ৫:৪২ অপরাহ্ণহবিগঞ্জ প্রতিনিধি::
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দৈনিক আমার হবিগঞ্জের প্রকাশক, সম্পাদক ও আমার এমপি ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা সুশান্ত দাশ গুপ্তের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করা হয়।শুনানিতে বাদীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। অন্যদিকে বিবাদীর পক্ষে ছিলেন হবিগঞ্জ বারের সিনিয়র আইনজীবী মোহিত আহমেদ চৌধুরী।উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।
সুশান্তের আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করবেন।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত দাশ গুপ্তের সম্পাদনায় দৈনিক ‘আমার হবিগঞ্জ’ প্রকাশ হয় গত ১ বৈশাখে। পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহির, ত্রাণের চাল আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ছাত্রলীগ নেতাদের দুর্নীতি সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি তিনি ওয়েবসাইট ও ফেইসবুকেও তা আপলোড করেন।
গত ২০ মে দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির বাদী হয়ে সুশান্ত দাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলায় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক,বার্তা সম্পাদক ও প্রধান প্রতিবেদককেও আসামি করা হয়েছে।
সাক্ষী রাখা হয়েছে আবু জাহির এমপি, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ তালুকদার, ইকবাল, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ, শায়েস্তাগঞ্জের পৌর মেয়র সালেক মিয়া, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহাব, হবিগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন কলিকে।
এরপর ২১ মে ভোরে সুশান্ত দাশ গুপ্তকে পত্রিকা অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ পুলিশ। গ্রেপ্তারের ভয়ে বাকি তিন সাংবাদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বাদী সায়েদুজ্জামান জাহির জানান, এমপি আবু জাহির হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। তার বিরুদ্ধে সুশান্ত দাশ গুপ্ত পত্রিকায় অসত্য সংবাদ প্রকাশ করেছেন যাতে প্রেসক্লাবের সুনাম নষ্ট করেছেন। তাই আমিই সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেছি।