অসহনীয় জলাবদ্ধতা ময়লা আবর্জনা পৌর এলাকায়
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ৮:১৭ অপরাহ্ণআল মামুন, জকিগঞ্জ::
জকিগঞ্জ পৌর শহরে সমস্যার অন্ত নেই। জলাবদ্ধতা পৌরবাসীর প্রধান সমস্যা। সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয় পৌর এলাকার নি¤œাঞ্চল। আলমনগর, কেছরীসহ প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই ড্রেনেজ সমস্যা মারাত্বক। পানি নিষ্কাষণের কোনো ব্যব¯’া না থাকায় নয় মাস জলাবদ্ধতা থাকতে হয় দক্ষিণ কেছরি গ্রামের বেশ কতগুলো পরিবারের বাসিন্দাদের। এসব বাসিন্দা নিজেদের দুর্ভোগের বর্ণনা করে বর্ষাকালে নিজেদের ঘরবাড়িতে বসবাস করাকে ‘জলে ভাসা জীবন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
জকিগঞ্জ বাজারে ময়লা আবর্জনার স্থ’প দেখে অনেকের ভাবতে কষ্ট হয় এটি পৌর শহর। গ্রীষ্মকালে ধুলাবালি আর বর্ষাকালে ময়লা, কাদা আবর্জনায় পরনের কাপড় নষ্ট হয় প্রতিনিয়ত। পৌর কর্তৃপক্ষ বরাবরই বাজারের ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের ব্যাপারে উদাসীন।
সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকায় বেশ কয়েকটি পুকুর-ডোবা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব পুকুর ডোবা পানি টইটুম্বুর হয়ে পড়ে। পাশাপাশি পৌর শহরের বেশ কিছু ড্রেন থেকে ময়লা আবর্জনা এসে পড়ছে ডোবা ও পুকুরে। অথচ এসব পানি বের হওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে বছরের প্রায় নয় মাসই জলাবদ্ধতার শিকার ওই এলাকার বাসিন্দারা। পানি-কাদার সঙ্গে নিয়মিত বসবাস করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নি”েছ না বলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পুকুর ও ডোবার পানিতে পচন ধরলে এলাকায় মশা-মাছির বিস্তার ঘটে। এ অব¯’া দীর্ঘ¯’ায়ী হলে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ব্যাপক বিস্তার ঘটতে পারে। এ অব¯’া নিরসনের জন্য সাময়িকভাবে চুন ও পটাশিয়াম প্রয়োগ করা যেতে পারে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, জলাবদ্ধতার শিকার পরিবারগুলোতে চর্মরোগের পাশাপাশি ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়।