করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানীগঞ্জের পর্যটন নৌকা ঘাটের ইজারাদার
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৯:৫৮ অপরাহ্ণকোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :::: বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারনে পর্যটকের আগমন কম হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর খেয়াঘাটের ইজারাদার।এ ব্যপারে উক্ত ইজারাদার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেছেন।
জানা যায় ১৪২৭ বাংলা সনের জন্য ৯০ লক্ষ টাকা ইজারামূল্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর খেয়াঘাট ইজারা নেন স্থানীয় ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রামের অধিবাসী আতাউর রহমান। তিনি ইজারামূল্য পরিষোধ ছাড়াও ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং আরও ৫ শতাংশ আয়কর সহ মোট ১ কেটি ৮ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাঘারে জমা দেন।ইজারা প্রাপ্তির পরপরই বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারনে সৃষ্ট লকডাউনে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র প্রায় চার মাস পর্যটকশূন্য থাকে।গ্রীষ্মের এ সময়টাতে আবহাওয়ার আনুকূল্য থাকায় এ অঞ্চলে পর্যটকের ব্যাপক সমাগম হয়ে থাকে।প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের কারণে পর্যটক না আসায় খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে উক্ত ইজারাদার বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।এ ক্ষতি পোষানোর লক্ষ্যে ইজারাদার আতাউর রহমান ইতোমধ্যে সিলেট জেলাপ্রশাসক এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ইজারা মেয়াদ বৃদ্ধি অথবা প্রণোদনা প্রদানের জন্য আবেদন দাখিল করেন।উক্ত আবেদনে মানবিক বিবেচনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবী জানানো হয়।কিন্তু তার এ আবেদনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সাঁড়া না দেয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।ইজারাদার আতাউর রহমান জানান – মহামারির কারনে সৃষ্ট লকডাউনের সময় বন্ধ থাকা খেয়াঘাটের ক্ষতি বিবেচনা করে এ সময়টুকুর ইজারা মেয়াদ বর্ধিত করা হলে হয়তা বড়ো অংকের আর্থিক ক্ষতি পোষানো সম্ভব। তিনি বলেন করোনার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সরকার নানাভাবে প্রনোদনা প্রদান করছেন।তার এ ক্ষতির ব্যাপারে তিনি সরকারের কৃপা কামনা করেন।এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য জানান বিষয়টি স্থানীয় সরকারের এখতিয়ারাধীন। ইজারাদারের দাবী আমরা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি,এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এলে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবো।