জামালগঞ্জে কানাখন্দে ভরা রাস্তায় হাজারও মানুষের দুর্ভোগ
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৭:২৮ অপরাহ্ণমো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, জামালগঞ্জ প্রতিনিধি :::
সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে জামালগঞ্জ থেকে নয়াহালট পর্যন্ত সড়কটির ২ কিলোমিটার অংশে বিগত বন্যায় ছোট-বড় কানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচারী ও অটোরিক্সা যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। এলাকার ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, প্রায় দুই বছর থেকেই জামালগঞ্জ নয়াহালট সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই ইউনিয়নের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। কয়েক বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হলেও বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মেরামত না করার কারণে অনেক স্থানে পাকা রাস্তা ভেঙ্গে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সবশেষে কালভাট ব্রিজের দুই পাশের মাটি সরে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে যেকোন সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে রিক্সা অটোরিক্সা চলাচল করছে।
জামালগঞ্জ অটোরিক্সা মালিক ও শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি নূরে আলম ফরাজী জানান, রাস্তার অনেক জায়গায় কানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার ভয়ে অটোরিক্সায় উঠতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেন এই রাস্তায় চলতে গেলে সুস্থ সবল মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে। অনেক সময় রিক্সা দিয়ে রোগী নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থা কাহিল হয়ে যায়।
অটোরিক্সা চালক আমির হোসেন বলেন, ভাঙ্গাচূড়া রাস্তায় রিক্সা চালাতে গিয়ে নাটবল্টু খোলে পড়ে যায়। ফলে সারাদিন রিক্সা চালিয়ে যে রোজগার হয়, তার একটা বড় অংশ মেরামতেই শেষ হয়ে যায়। ১৫ মিনেটের রাস্তা যেতে হয় ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটে।
উপজেলার দারুল সুন্নাহ মাদ্রাসার পরিচালক মো. আলতাফুর রহমান জানান, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা আসা-যাওয়া করে। ছোট ছোট বড় বাচ্চাদের বিভিন্ন আসতে মারাত্বক সমস্যার সৃষ্টি হয়। অভিভাবকগণ চিন্তায় থাকেন কখন জানি তাদের বাচ্চাদের দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার বলেন, একদিকে ধূলাবালি, অন্যদিকে রাস্তার কানাখন্দে ভরা সড়কটির কারণে কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জনস্বার্থে সড়কটি সংস্কার করা অতীব জরুরী।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার জানান, পল্লী সড়ক ও কালভার্ট মেরামতের কর্মসূচি প্রকল্পের আওতাধীন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হয়ে এলে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।