ওসমানী হাসপাতালের ভেতরেই হামলা আহত ১ : তদন্তে পিবিআই
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ এপ্রিল ২০২১, ৮:৫৮ অপরাহ্ণপূবের হাওয়া ডেস্ক ::::
সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের অভ্যন্তরে আউট সোসিং কর্মচারীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বুশরা সিকিউরিটিজ কোম্পানীর সুপার ভাইজার নেহারীপাড়ার হারিছ আলীর ছেলে জামিল আহমদ ও একই হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার জীবন রায়ের বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় পিবিআই তদন্ত করে বাদীর স্বীকারোক্তি গ্রহনের পাশাপাশি অভিযুক্তদের নোটিশ প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আহত ছালেখা বেগম(৪০) কানাইঘাট উপজেলার কায়স্তগ্রামের মাখন মিয়ার স্ত্রী। ওসমানী হাসাপাতালের ২য় তলার সন্ধানী ব্লাড ব্যংাকের সামনে ২১ মার্চ রাত সাড়ে তিন টায় হামলার ঘটনা ঘটে। ছালেখা বেগম বাদী হয়ে প্রথমে থানায় অভিযোগ দিলেও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহন না করায় তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছালেখা বেগম প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী বুশরা সিকিউরিটি কোম্পানীতে ৯ মাস ধরে চাকুরির পাশাপাশি অন্যান্য কোম্পানীতে চুক্তিভিক্তিক চাকুরি করে আসছেন। বুশরা কোম্পানীর সুপার ভাইজার জামিল আহমদ আহমদ ছালেখা বেগমকে অন্যত্র বদলী করার হুমকি দিয়ে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবির পাশাপাশি প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ছালেখা বেগম টাকা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে জামিল ও জীবন রায়সহ আরো দুজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে বাম হাতে জখম করার পাশাপাশি ছালেখা বেগমের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দামের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার জীবন রায় বলেন, পিবিআই আমার সাথে যোগাযোগ করেনি, এবং ছালেখা বেগমের সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক তদন্তে আহতের আলামত পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশে তিনি তদন্ত করে উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে জেরা করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছেন বলে জানান।