লকডাউনে সিলেটের অলি-গলিতে ভিড় : পুলিশের তৎপরতা কম
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ৮:৪৩ অপরাহ্ণপূবের হাওয়া ডেস্ক ::: দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে সারাদেশে আটদিনের সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিন সিলেট মহানগরে ঢিলেঢালাভাবে চলছে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরের কয়েকটি স্থানে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়লেও বাজার এলাকাগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
এদিকে লকডাউনের প্রথম দিন গত বুধবার পুরো সিলেট নগরী ছিল জনশূন্য । রাস্তাঘাট বা নগরের অলিগলিতে জনসমাগম ছিল না বললেই চলে। লকডাউনের তৃতীয় দিন আজ শুক্রবার সিলেট নগরে অনেকটাই পাল্টেছে সেই চিত্র।
গত দুইদিনের মতো নগরের মূল সড়কে জনসমাগম ও জনসাধারণের চলাচল কম থাকলেও অলি-গলিতে লোকজনের উপস্থিতি দেখা মিলছে অনেক বেশি।
লকডাউনের তৃতীয় দিনে সিলেট মহানগরের শহরে সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও বিপনীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ রয়েছে। শহরে জরুরি পরিবহন চলাচল ছাড়াও ব্যক্তিগত যানবাহন ও কিছু কিছু মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
গত দুইদিনের মতোই ভোর থেকে সিলেট নগরীর সকল প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের চেয়ে রাস্তায় তুলনামূলক শিথিলভাবে দেখা গেছে। সকালে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ চেকপোস্টগুলো প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয়। তবে কিছু কিছু মোটরসাইকেল আরোহীদের পুলিশি বাঁধার মুখে পড়তে দেখা গেছে এদিন।
সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায় গত দুই দিনের তুলনায় মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি দেখা গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা মুদিদোকানের পাশাপাশি একটি–দুটি করে খুলছে অন্যান্য দোকান। একই সাথে ভ্রাম্যমাণ ব্যাবসায়ীদেরও সড়কে বলে ব্যবসা করতে দেখা গেছে। এতে বেড়েছে মানুষের আনাগোনা বা চলাচল।
একই চিত্র দেখা গেছে নগরের আম্বরখানা, চৌহাট্টা, রিকাবিবাজার, জিন্দাবাজার, উপশহর, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, নাইওরপুল, মেডিকেল, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। তাতে দেখা যায়, এসব এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সকল দোকান খুলেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসছেন অনেকেই। এর বাইরে অনেককেই দেখা গেল কৌতূহলবশত বাসার বাইরে বের হতে বা ঘুরতে। এদিকে এসব আবাসিক এলাকার অধিকাংশ দোকানপাটই ছিল খোলা।