লকডাউনের পঞ্চম দিনে তৎপর পুলিশ
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ৮:১৩ অপরাহ্ণপূবের হাওয়া ডেস্ক ::: করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ পঞ্চম দিনে সিলেট নগরের রাস্তাঘাটে রিকশা চলাচল বেড়েছে। বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলতে দেখা গেছে, বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি সংখ্যা।
রোববার নগরের জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড়, রিকাবি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে যান ও পথচারী চলাচল নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও। কয়েকটি স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে যান বাহন আটক করার দৃশ্য দেখা গেছে।
সিলেট নগরের বন্দর বাজার (মধুবন পয়েন্ট) এলাকায় তল্লাশি চৌকিতে প্রত্যেকটি যানবাহন থামিয়ে মুভমেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। যারা পাস দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদেরকে পড়তে হচ্ছে পুলিশি জেরার মুখে। এক পর্যায়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাড়া অন্যদের ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া বাসার বাইরে না আসতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে নগরের বিভিন্ন সড়কে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন ও নগর কর্তৃপক্ষ।
এদিন সিলেট মহানগরের শহরে সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও অন্যন্য দিনের মতো নগরের বিপনীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ রয়েছে। তবে সিলেট নগরে আগের চার দিনের তুলনায় মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি দেখা গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা মুদিদোকানের পাশাপাশি একটি–দুটি করে খুলছে অন্যান্য দোকান। একই সাথে ভ্রাম্যমাণ ব্যাবসায়ীদেরও সড়কে বলে ব্যবসা করতে দেখা গেছে। এতে বেড়েছে মানুষের আনাগোনা বা চলাচল।
এছাড়া পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সকল দোকান খুলেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসছেন অনেকেই। এর বাইরে অনেককেই দেখা গেল কৌতূহলবশত বাসার বাইরে বের হতে বা ঘুরতে। এদিকে এসব আবাসিক এলাকার অধিকাংশ দোকানপাটই ছিল খোলা।
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বুধবার সকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চালু করে সরকার। এই বিধি নিষেধকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বলা হচ্ছে। টানা আটদিনের এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত।
তবে লকডাউনের মধ্যে পোশাক রপ্তানি প্রতিষ্ঠানসহ শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখা হয়েছে। বাংলা নববর্ষের ছুটির পরদিন থেকে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার জন্য ব্যাংক লেনদেন ও পুঁজিবাজারের কার্যক্রমও চালু হয়েছে।