বাঘায় মন্দিরে ধর্ষণ চেষ্টার সত্যতা মিলেছে : পুলিশ
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১০:৪৭ অপরাহ্ণপূবের হাওয়া ডেস্ক ::: সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাঘায় মন্দিরের সেবায়েত কর্তৃক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি নিয়ে চলছে পক্ষে বিপক্ষে জোরালো আলোচনা। এ ঘটনার পর সেবায়েতের পক্ষের লোকেরা এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে। তবে মন্দিরের সেবায়েত কর্তৃক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারী দল।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে এই ঘটনার সত্যতা পান বলে জানান।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঞা মোহাম্মদ আসিস বিন হাসান পিপিএম, গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) হারুনুর রশীদ চৌধুরীসহ তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় মামলার বাদীসহ সাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্তকারী দল সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, এখানে পুলিশের কোন হাত নেই। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একজন তরুণী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে, এরই আলোকে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেবায়েত পরেশ চৌহানকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, স্থানীয়দের সাক্ষ্য প্রমাণে ও বাদীর তথ্য মতে ঘটনা সঠিক বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল বাঘা ইউনিয়নের কালাকোনা গ্রামের এক তরুণী গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় শ্রী শ্রী গিরিধারী জিও মন্দিরের সেবায়েত প্রাণ গবিন্দ দাস বাবাজি ওরফে পরেশ চৌহান (৪৬) ও তার সহযোগী কালাকোনা গ্রামের দিপংকর দেব তপন (৩৮) এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সেবায়েত পরেশ চৌহানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অপর আসামি পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।