জগন্নাথপুরে উজ্জল চৌধুরীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন প্রতিবাদ সভা
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২১, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কচুরকান্দি গ্রামের তরুন সমাজসেবক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব উজ্জল মিয়া চৌধুরীর হত্যাকারীদের ফাঁিসর দাবীতে জগন্নাথপুর ও ছাতক এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেল ৪টায় জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদগঞ্জ বাজারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি জগন্নাথপুর ও ছাতক উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন মানববন্ধনে অংশ নেন। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে শত শত লোকজন ব্যানার ফেষ্ঠুন হাতে নিয়ে ঘন্টাব্যাপী মোহাম্মদগঞ্জ বাজারের পাশে রসুলগঞ্জ-টুকের বাজার সড়কে মানববন্ধনে উজ্জল মিয়া চৌধুরীর হত্যাকারীদের ফাঁিসর দাবী জানান এবং হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসনের সু-দৃষ্ঠি কামনা করেন। পরে প্রতিবাদ সভায় মীরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও পাটলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসলাম উদ্দিন জসিমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া, জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জমশেদ মিয়া তালুকদার, দোলার বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আমির উদ্দিন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক কোরেশী, নিহত উজ্জল মিয়া চৌধুরীর বড় ভাই আজাদ মিয়া চৌধুরী, পাটলী চন্দন মিয়া সৈয়দুন্নেছা কলেজের অধ্যক্ষ আলী আকবর হোসাইন, মিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুশ শহীদ, পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খালিদ হাসান খালিদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম, জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল জিলানী আবু, পাটলী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মুক্তাদির আহমদ, যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমান, কমলা মিয়া, কয়েছ মিয়া, উজ্জল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার আহমদ ইমন, রাকিব মামুন, সাইদুর রহমান, রাকিব উদ্দিন প্রমূখ।
প্রসঙ্গত:- জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদগঞ্জ বাজারটি পাশ^বর্তী ছাতক উপজেলার সীমান্তে। বাজারের সরকারি একটি ভুমি নিয়ে কচুরকান্দি গ্রামের ফয়জুল ইসলাম ও ছাতক উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ছালিক মিয়ার মধ্যে ঐ ভুমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সোমবার সরকারি ঐ ভুমিতে ইউপি সদস্য ছালিক মিয়া দোকান কোটা নির্মাণ করলে অপর পক্ষ ফয়জুল ইসলাম দোকান ঘরটি ভাংচুরের চেষ্ঠা করলে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্ঠি হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৮জন আহত হন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ছাতক উপজেলার পূর্ব বসন্তপুর গ্রামের মক্রমপুরী বাড়ির মৃত আকলু মিয়া চৌধুরীর ছেলে উজ্জল মিয়া চৌধুরী (২৮) ঘটনাস্থল মোহাম্মদগঞ্জ বাজারে গেলে উত্তেজিত প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে একা পেয়ে উপর্যপরী ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জল মিয়া চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ২০ মে রাতে নিহতের ভাই আজাদ মিয়া চৌধুরী বাদি হয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম হাসিমকে প্রধান আসামি করে ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মামলার প্রধান আসামী রফিকুর ইসলাম হাশিম সহ তার ভাই আশিক আলী ও ইয়াতিবুল রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কচুরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। উভয় পক্ষ পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা।