দু,টো কিডনি বিকল,বাচঁতে চায় দোয়ারা বাজারের জসিম
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২১, ৮:১৬ অপরাহ্ণদোয়ারা বাজার প্রতিনিধিঃঃ
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন জসিম উদ্দিন। তার উপার্জনের টাকায় চলতো পুরো পরিবার। সুস্থ থাকাকালে সময়ে প্রাণ কোম্পানিতে ড্রাইভিংয়ের কাজ করতেন তিনি। এখন তার দুটি কিডনিই বিকল। প্রায় এক বছর ধরে শয্যাশায়ী। প্রতিনিয়তই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। সামান্য ভিটেমাটি ছাড়া যেটুকু জমি ও গবাদিপশু ছিল সব বিক্রি করে এতোদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছে। বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। জসিম উদ্দিন (৪০) দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামের মৃত হাছান আলীর ছেলে। তার ৪ সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে সমুজ আলী স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসিতে অধ্যায়নরত, দ্বিতীয় ছেলে টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস এইটে পড়াশোনা করছে। ছোট্ট দুই ছেলে পড়াশোনা করছে প্রাইমারি স্কুলে। পরিবারে কর্মক্ষম কেউ না থাকায় অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তার পরিবারের আয় উপার্জন বন্ধ রয়েছে। ঋণ করে একদিকে চিকিৎসা খরচ, অন্যদিকে সাংসারিক খরচ চালাতে গিয়ে এখন দিশেহারা জসিম উদ্দিনের পরিবার।
সরেজমিনে গিরিশনগর গ্রামে জসিম উদ্দিনের বাড়িতে গেলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনরা। তার স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, সপ্তাহে দুইদিন নিতে হয় রক্ত। সেখানেও প্রতি সপ্তাহে খরচ হয় ৫৫০০ টাকা। এছাড়া একদিন পর পর ডায়ালাইসিস করাতে হয়। সেখানেও সপ্তাহে খরচ হয় ১১ হাজার টাকা। এতোদিন চিকিৎসা করানো হলেও খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় টাকার অভাবে এখন আর উন্নত চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। এখন ঢাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার চিকিৎসা চলছে। কি যে করব ভেবে পাচ্ছিনা।
জসিম উদ্দিনের বড়ভাই মোহাম্মদ রাজু উদ্দিন বলেন, আমরা ড্রাইভারি করতাম। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। এক বছর আগে হঠাৎ করে জসিম উদ্দিনের অসুস্থতা দেখা দেয়। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে তার দুটি কিডনি বিকল। সে অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই আমরা আমাদের সাধ্যমতো তার সংসারের খরচ ও চিকিৎসা খরচ চালিয়ে গেছি। করোনার কারণে এখন আমার ড্রাইভিংয়ের কাজও বন্ধ। নিজেই চলতে পারছিনা। চোখের সামনে ভাইটা প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লডছে, তার স্ত্রী-সন্তানরাও কষ্টে আছে। কিছুই করতে পারছিনা। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর চাওয়ার মতো জায়গা নাই। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলেই আমার ভাই আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
সব মিলিয়ে এখন টাকার অভাবেই জীবন প্রদীপ নিভে যেতে বসেছে অসহায় জসিম উদ্দিনের। একমাত্র সমাজের বিত্তবানরা পাশে দাঁড়ালেই জসিম উদ্দিনের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকা। জসিমের পরিবারের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা কখনোই সম্ভব না। সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। জসিম উদ্দিনের পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার ০১৬৪৪৩১৪৯৯৮
সরেজমিনে গিরিশনগর গ্রামে জসিম উদ্দিনের বাড়িতে গেলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনরা। তার স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, সপ্তাহে দুইদিন নিতে হয় রক্ত। সেখানেও প্রতি সপ্তাহে খরচ হয় ৫৫০০ টাকা। এছাড়া একদিন পর পর ডায়ালাইসিস করাতে হয়। সেখানেও সপ্তাহে খরচ হয় ১১ হাজার টাকা। এতোদিন চিকিৎসা করানো হলেও খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় টাকার অভাবে এখন আর উন্নত চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। এখন ঢাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার চিকিৎসা চলছে। কি যে করব ভেবে পাচ্ছিনা।
জসিম উদ্দিনের বড়ভাই মোহাম্মদ রাজু উদ্দিন বলেন, আমরা ড্রাইভারি করতাম। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। এক বছর আগে হঠাৎ করে জসিম উদ্দিনের অসুস্থতা দেখা দেয়। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে তার দুটি কিডনি বিকল। সে অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই আমরা আমাদের সাধ্যমতো তার সংসারের খরচ ও চিকিৎসা খরচ চালিয়ে গেছি। করোনার কারণে এখন আমার ড্রাইভিংয়ের কাজও বন্ধ। নিজেই চলতে পারছিনা। চোখের সামনে ভাইটা প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লডছে, তার স্ত্রী-সন্তানরাও কষ্টে আছে। কিছুই করতে পারছিনা। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর চাওয়ার মতো জায়গা নাই। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলেই আমার ভাই আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
সব মিলিয়ে এখন টাকার অভাবেই জীবন প্রদীপ নিভে যেতে বসেছে অসহায় জসিম উদ্দিনের। একমাত্র সমাজের বিত্তবানরা পাশে দাঁড়ালেই জসিম উদ্দিনের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকা। জসিমের পরিবারের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা কখনোই সম্ভব না। সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। জসিম উদ্দিনের পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার ০১৬৪৪৩১৪৯৯৮
নগদ-০১৯৭২৫৯৯২৬১ এবং ইসলামী(আম্বরখানা) ব্যাংক একাউন্ট নং : ২০৫০১৬৬০২০১১২৯৩১৭।