পর্নোগ্রাফি মামলায় স্বঘোষিত বাউল নেতা কামাল উদ্দীন রাসেল আটক
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণপূবের হাওয়া ডেস্ক :::
পর্নোগ্রাফি মামলায় সিলেট নগরীর তালতলা থেকে কামাল উদ্দীন রাসেল নামে স্বঘোষিত এক বাউল নেতাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিজে বাউল শিল্পী না হয়েও সিলেট বাউল কল্যাণ সমিতি গঠন করে নিজেই সভাপতি হয়েছেন তিনি। ঢাকার চকবাজার থানার পর্নোগ্রাফি মামলায় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে প্রত্যক্ষদ্শীরা জানিয়েছেন। তবে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।
অভিযোগ রয়েছে, সিলেটের বহুল বিতর্কিত কামাল উদ্দিন রাসেল ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষ সম্পর্কে বিষোদগার করে থাকেন। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন। জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকার চকবাজার থানার ১৪(৮)২১ নং পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে ধরবে না আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। দীর্ঘ ভিডিও লাইভে এমন হুংকার দেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুরের কামাল উদ্দিন রাসেল।
অভিযোগে প্রকাশ- রাজধানী ঢাকার এক নারী বাউল শিল্পীকে (২২) বাউল ও পালাগানের কথা বলে সিলেটে নিয়ে আসে কামাল উদ্দিন রাসেলের সহযোগী ও ধরাধরপুর গ্রামে বসবাসরত কথিত বাউল শিল্পী বাবুল। পরে তাকে নগরঘর সাগরদিঘির পারের একটি বাসায় জিম্মি করে টানা কয়েকদিন ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয় বাবুল ও তার সহযোগীরা। পরে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে ওই নারী শিল্পী এ বছরের ২২ এপ্রিল সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ও পর্নোগ্রাফি আইনে বাবুলসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামী করে একটি মামলা [নং-৩১(৪)২১] করেন।
মামলায় ধর্ষক বাবুল পলাতক এবং কামাল উদ্দিন রাসেলে তদবিরে নামেন। তদবির করেই শেষ নয় কামাল উদ্দিন রাসেল তার ইংরেজিতে “কামাল উদ্দিন রাসেল” নামীয় একাধিক ফেইসবুক আইডি দিয়ে বাবুলের ধারনকৃত ওই নারী শিল্পীর অশ্লীল এবং এডিট করা ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল করে দেন। এ ঘটনায় ওই নারী শিল্পী ঢাকার চকবাজার মডেল থানায় গত ৪ আগস্ট পর্নোগ্রাফি আইনে কামাল উদ্দিন রাসেলে বিরূদ্ধে মামলা [ নং-১৪(৮)২১] করেন। এই মামলায় কামাল উদ্দিন রাসেল পলাতক থেকে মামলাযর বাদীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে বাংলায় “কামাল উদ্দিন রাসেল” নামীয় একটি নতুন ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভ আসেন। দীর্ঘ ঘণ্টাব্যাপী এই লাইভ তিনি তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলার বাদী ওই নারী শিল্পীর নাম না নিয়ে তাকে বেশ্যা আখ্যায়িত করে অশ্রাব্য ভাষায় নানা গালিগালাজ করেন।
পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ঢাকার চকবাজার মডেল থানার মামলায় তাকে কোনদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরবেন না, এই দম্ভোক্তি দিয়ে ডিএমপি কমিশনার, ডিসি এডিসি ও এসি সব তার ঘনিষ্ট দাবি করে মামলা গ্রহণকারী চকবাজার মডেল থানার ওসিকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন।
কামাল উদ্দিন রাসেল নিজেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের নেতা ও বাউল কল্যাণ সমিতির সিলেট বিভাগ -এর সভাপতি পরিচয় দেন। তাকে আটক করার পর স্টারডম ভিজ্যুয়াল নামে তার কথিত অফিসে তল্লাশি চালানো হয়।