নির্বাচনের সময় নিয়ে কূটনীতিকদের যা জানালো ড. ইউনূস
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ৩:১৫ অপরাহ্ণঅনলাইন ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। দুই সপ্তাহ হলো বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিপ্লব সাধিত হয়েছে। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ ভেঙে পড়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, পাতানো নির্বাচন করা হয়েছে। সবকিছু সংস্কারের পরই জাতীয় নির্বাচন হবে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারসহ জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের ব্রিফিকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গ অকার্যকর হয়ে আছে। এমন অবস্থায় রাষ্ট্রের সার্বিক অরাজকতা সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সবকিছু সংস্কারের পর, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।
সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য ছাত্র-জনতা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে কূটনীতিকদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, শত শত মানুষ মারা গেছে, হাজার হাজার মানুষ আহত। আমি আশা করি আপনারা আমাদের সহায়তা করতে পারেন। অনেক শিক্ষার্থী বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন, অনেকের রাবার বুলেট চোখে লেগেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের সম্মান জানাই যারা দেশের জন্য, গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। বৈষম্যহীন, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ চায় তরুণ সমাজ। আমি দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, তবে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ ভেঙে পড়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, পাতানো নির্বাচন করা হয়েছে। ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে তরুণ সমাজ বেড়ে উঠেছে। রাজনৌতিক প্রভাবে ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চাই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরাচারিতার জন্য দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। দুর্নীতির কারণে দেশের সব শেষ হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে সব কিছু ঠিক হতে একটু সময় লাগবে।