কোম্পানীগঞ্জে স্কুলের বিরোধ নিষ্পত্তি ভারপ্রাপ্ত প্রধান সাজ্জাদুর রহমান
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ণএমরান আলী, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: কোম্পানীগঞ্জে জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফকে বহাল রাখার দাবি এলাকাবাসীর। আজ রবিবার দুপুরে এলাকার সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে,জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা দেবী দায়িত্বে কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন অনিয়ম,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণ এবং শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেন বলে অভিযোগ উঠে।শিক্ষিকা অঞ্জনা দেবী ২০১২ সালে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি,দাতা সদস্য,স্কুলের শিক্ষকসহ ০৭ জনের বিরুদ্ধে জিডি দায়ের ও পত্রিকা কাটিং করেন।
সে সময় তদন্তে জিডির অভিযোগের পক্ষে কোন সত্যতার প্রমাণ না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগটি খারিজ করে প্রতিবেদন দেন। তখন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশংকায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস শিক্ষিকা অঞ্জনা দেবীকে ডেপুটেশনে সিলেট সদর উপজেলার মইয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। ৫ বছর পর ২০১৭ সালে উক্ত শিক্ষিকার ডেপুটেশন বাতিল হলে তিনি আবারও নিজ কর্মস্থল জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। তখন তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তিনি স্থানীয় একটি মহলের প্ররোচনায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং নিজে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকের দায়িত্ব নিতে উর্ধ্বতন শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফকে বহাল রাখার দাবিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপি প্রদান শেষে উপজেলা পরিষদ মাঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন- স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সহসভাপতি জাফরুল ইসলাম বাবুল,সাবেক মেম্বার শাহনুর আলী, সেবুল আহমদ, আব্দুল কদ্দুস,সাবেক ছাত্র হুজ্জাতুল ইসলাম। এ সময় এলাকাবাসী আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার টিটু কুমার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সাহিদুল ইসলাম সরেজমিনে জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন ও জরুরি বৈঠক করেন এবং সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার টিটু কুমার বলেন, আমরা স্কুলের সকল শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান জটিলতা নিরসন করতে সক্ষম হয়েছি। যেহেতু সেখানে কোন প্রধান শিক্ষক নাই তাই সকলের মতামতের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানকে। তবে ২টি গ্রুপ এ বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিল যা একান্তই কাম্য নয়। তবে কোন দুর্নীতি বা অপকর্মের জন্য কাউকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি। এলাকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে এমন প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।