শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন শিক্ষিকা নারগিস আক্তার
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:০৯ অপরাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর “হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের” সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের তোপের মুখে পরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা নারগিস আক্তার।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট ২৪) তিনি স্কুলে প্রবেশ করেন। এরআগে গত রোববার থেকে হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন স্কুলের শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকা নারগিস আক্তার তোপের মুখে পরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘নারগিস আক্তার, হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পিন্সিপাল (প্রধান শিক্ষিকা) পদ হতে সাময়ীক সময় (১ মাস) এর জন্য পদত্যাগ করিতেছি। আমার বিপক্ষে আনা সকল দুর্নীতির অভিয়োগ প্রমানীত হলে আমি পদত্যাণ গ্রহন করব এবং জবাবদিহীতার আওঙ্ক্ষায় নিজেকে সোপার্দ করব। যদি আমার অভিযোগ মিথা প্রমান হয় তবে আমার আমি পুনরায় আমার কমস্থলে যোগদান করব।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষিকা নারগিস আক্তার সেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে বহিরাগতদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষিকা নারগিস আক্তার বিরুদ্ধে যতো অভিযোগঃ- ১। বিদ্যালয়ের মধ্যে অনিয়ম প্রস্বায় দেওয়া এবং তার সাথে যুক্ত করা। ২/ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে বিরূপ আচরন ও বিভেদ সৃষ্টি করা। নির্বাচন বিহীন কমিটি মেম্বার নির্বাচন করা। ৪। বিদ্যালয়ের থেকে উপার্জিত অর্থ রাজনৈতিক খাতে ব্যায় (বিদ্যালয়ের অধীনস্ত মার্কেট)। ৫ বিদ্যালয়ের মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার হস্তক্ষেপ প্রয়োগ অপব্যাবহার করা।
এবিষয়ে পরিচালক পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর প্রফেসর কাজী মো. আবু কাইয়ুম বলেন, প্রধান শিক্ষিকা থাকাকালীন অবস্থায় এযুগে কতোটা সৎ ছিলেন বা অনিয়ম করেছেন সেটা দেখার বিষয়। এসব বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।