রূপগঞ্জে ইউপি নির্বাচন ঠেকাতে অর্ধকোটি টাকার বিনিময় লবিং করছেন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ণরবিউল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঠেকাতে ও চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অর্ধকোটি টাকা নিয়ে লবিং করছেন হত্যা মামলার আসামি ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়া। তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সৎ ও নীতিবান হওয়ায় কোথাও স্থান পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, হত্যা মামলাসহ নানা অনিয়ম, দুর্ণীতি, ভূমিদস্যুতার অভিযোগ থাকায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়াকে অপসারণ করা হয়েছে। এখানে রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিকুল আলমকে প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই নির্বাচন ঠেকাতে ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বহাল রাখতে ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়া ৫০ লাখ টাকা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লবিং করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। তিনি ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র জিসান হত্যা মামলার আসামি।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। তবে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু হয়েছে। এর পর থেকে রূপগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়া নির্বাচন ঠেকাতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরাঘুরি করছে শুনেছি। তবে তিনি হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় পুলিশও তাকে খুঁজছে। বিগত দিনে নানান অপরাধের সঙ্গে ছালাহউদ্দিন চেয়ারম্যান জড়িত ছিল। বিশেষ করে ঠিকাদারী কাজে বেশি অনিয়ম করেছেন। প্রজ্ঞাপন জারি হলে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযুক্ত ছালাহউদ্দিন চেয়ারম্যান বলেন, আইনের গতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমাকে একটি চক্র বিনা দোষে হত্যা মামলায় জড়িয়েছেন। ঠিকাদারী কাজ যাদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে তারা অপকর্মে জড়িত থাকতে পারে। ইতিমধ্যে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অচিরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।