মিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিত হামলায় আটক-১
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:৪৬ অপরাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর শাহ্ আলী থানা এলাকায় ও দারুসসালাম থানা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মা ও দুই ছেলের উপর অতর্কিত হামলা করেছেন এক দল চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় দারুসসালাম থানার মামলায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সাহাদাত শিকদার শাওন’কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ২৪) রাত ১১ টায় শাহ আলী থানাধীন শাহ্ আলী মহিলা কলেজ মার্কেটের মেইন গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর ২৪) বিকাল ৫ টায় দারুস সালাম থানাধীন দারুস সালাম মাধ্যমিক স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শাহ্ আলী থানার মামলার আসামী হলেন, মৃত সাহাবুদ্দিন মাষ্টারের ছেলে সজীব (৩৫), আল আমিনের ছেলে সোহেল (২৫), ইউসুফের ছেলে জাহিদ (২৫), বুলেট (২৭), দিলু (২৭), তোফায়েল (২৬), ৭। সাগর (২৫)।
দারুসসালাম থানার মামলার আসামীরা হলেন, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪), মেহেদী (২০), ৩। রাকিব (২৫), মিলন ভান্ডারী (৪৫), জাহিদ (২১), সোহেল এলাইস কোবরা সোহেল (২২), সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৫/৬ জন।
দারুসসালাম থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া অবৈধ জনতায় দলবদ্ধ হইয়া ২২/০৯/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান-০৫:০০ ঘটিকার সময় দারুস সালাম থানাধীন দারুস সালাম মাধ্যমিক স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপরে বাদীর মেয়ের জামাই শাকিল এর বড় ভাই জীবন (২৬) কে ধারালো সুইস গিয়ার চাকু দ্বারা এলোপাথারীভাবে আঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে এবং মেয়ের জামাই শাকিল এর বড় ভাই জীবন (২৬) এর ডাক-চিৎকারে সেনাবাহিনীর টহলরত টিম উপস্থিত হইলে ১নং -আসামী সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪) কে আটক করে। বাকী আসামীরা পালিয়ে যায়। আসামীরা যাওয়ার সময় বাদীর মেয়ের জামাই শাকিল এর বড় ভাই জীবন (২৬) এর নিকট থাকা নগদ-১০,০০০/- চুরি করিয়া নিয়া যায় এবং যাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। সেনাবাহিনীর টহল দলের সহায়তায় আমার মেয়ের জামাই শাকিল এর ভাই জীবন (২৬) কে নিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূর্নবাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) এ চিকিৎসার জন্য ভর্তি করাই। পরবর্তীতে সেবাহিনীর টহল দল ১নং আসামী সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪) কে আটক করে দারুস সালাম থানায় সংবাদ দিলে থানার এসআই (নিঃ)/জিএম ইমরান হোসেন রাজুর সম্মুখে উপস্থিত সাক্ষী-১। মোঃ শাকিল হোসেন (২১), ও শশী (২০), সম্মুখে ধৃত ১নং আসামী সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪) এর পরিহিত প্যান্টের ডান পকেটে থাকা একটি স্টীলের সুইচ গিয়ার চাকু যাহার বন্ধ অবস্থায় দৈর্ঘ্য-সাড়ে ৫ ইঞ্চি ও খোলা অবস্থায় দৈর্ঘ্য-১০ ইঞ্চি উদ্ধার পূর্বক ২২/০৯/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় দারুস সালাম থানাধীন দারুস সালাম মাধ্যমিক স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপর জব্দতালিকা মূলে জব্দ করেন এবং ধৃত ১নং আসামীকে পুলিশ হেফাজতে গ্রহন করেন। আসামীসহ অন্যান্য আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করিয়া উপরোক্ত ঘটনায় মামলা করেন মোঃ মঞ্জুরুল হোসেন (৪৪)।
শাহ্ আলী থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদীর মাতা ও আমার ছোট ভাই-মোঃ শাকিল সহকারে ভ্রাম্যমান খাবার বিক্রি করেন। গত ১৯/০৯/২০২৪ তারিখ সময় রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় শাহআলী থানাধীন শাহ্ আলী মহিলা কলেজ মার্কেটের মেইন গেইটের সামনে পাকা রাস্তার উপরে খাবার বিক্রি করার সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপরোক্ত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্রসহকারে অতর্কিত ভাবে বাদীর মায়ের উপর হামলা করে নীলা-ফুলা জখম করে। ১নং আসামী চায়নিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর মাকে মাথায় এবং ডান পায়ের গোড়ালির উপরে কোপ দিয়ে বাদীর মাকে গুরুতর রক্তাক্ত প্রথম করে। তখন আমি ও আমার ভাই বাদীর মায়ের ডাক চিৎকারে দৌড়ে আসি। তখন আমি ঠেকাতে গেলে ২নং আসামী খারালো রামদা দিয়ে বাদীকে আঘাত করিলে বাদীর ডান হাতে বৃদ্ধাঙ্গুল এবং বাম পায়ের হাটুর নিচে সীরাতপ্রাপ্ত হই। ২ ও ৩নং আসামী বাদীর ছোট ভাই-মোঃ শাকিল (১৯) কে ধারালো অস্ত্র রামদা দিয়ে বাম হাতের ২ কাঁধের নিতে কোপ দিলে বাদীর ভাই গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। ১ ও ২নং আসামী ক্যাশ হতে পনের হাজার একশত টাকা নিয়ে যায়। ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া এসে আসামীগনদের কবল হইতে আমাদের রক্ষা করে। ঐ সময় উপরোক্ত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামী আমাদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায়। এবিষয়ে মৃত মোঃ সাহাবুদ্দিনের ছেলে জীবন (২৫) বাদী হয়ে শাহ্ আলী থানায় মামলা করেন।
এবিষয়ে দারুসসালাম থানার এস আই ইমরান হোসেন রাজু বলেন, একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এবিষয়ে শাহ্ আলী থানার এস আই আবুল হাসান বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।