শ্রীমঙ্গলের মাঠে আলোর ফেরিওয়ালারা
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০১৯, ৭:৩০ অপরাহ্ণশ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ জেলার সাতটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে ১০৫ টি টিমে আলো বিলাচ্ছেন আলোর ফেরিওয়ালারা। বুধবার সকাল থেকে জেলার সাত উপজেলার ৫টি অফিসের মাধ্যমে আলোর ফেরিওয়ালা মিটারিং কার্যক্রমের সেবামূলক কাজে পল্লী বিদ্যুৎতের লোকজন সরঞ্জাম বোঝাই ১০৫টি ভ্যান, টমটম, রি´া, গাড়ীও মটরসাইকেলের মাধ্যমে নিয়ে অফিস থেকে বের হন।
পরে ১০৫টি দলে ভাগ হয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী, লাইনম্যান, ইলেকট্রিশিয়ান, ম্যাসেঞ্জার, লেবারসহ বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন পৌঁছে যান প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগঞ্জ ও হাট বাজারগুলোতে। আর এসবের সব কার্যক্রম সাথে থেকে তদারকি করছেন জেলার সদর দপ্তর শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী শিবুলাল বসু। তার সাথে কাজ করছেন জুনিয়র প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, এজিএম সৌরভ পাল (সদস্য সেবা), পাওয়ারইউজ কো-অর্ডিনেটর মো. হাবিবুর রহমান ও মেম্বার সার্ভিস কোÑঅর্ডিনেটার রতন কৃষ্ণ চৌধুরীসহ আরো অনেক কর্মকর্তা।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গ্রাহকহয়রানি রোধ ও ঘরেঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতেই তারা কাজ করে চলেছেন। বিশেষ করে রমজান মাসে যাতে কোন মানুষ বিদ্যুৎ কোন ভোগান্তিতে না পড়েন।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী শিবুলাল বসু বলেন, তাদের এ কার্যক্রমটি আরো আগেই শুরু হওয়ার কথাছিল। রোজার আগেই এ কর্মসুচিটি বাস্তাবায়ন করতে চেয়েছিলেন। ঘুর্ণিঝড় ফণী কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। নতুন সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে একসময় তার বিভাগের অনেক বদনাম শোনা যেত। সংযোগ নিতে গ্রাহকদের অফিসে এসে আবেদন জমা দিয়ে সময় ব্যয় করতে হতো। অপেক্ষা করতে হতো দিনের পর দিন। এছাড়াএকশ্রেণির দালাল অফিসের লোক সেজে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। হয়রানি করতো। এগুলো থেকে তাদের বাঁচাতেই আজ বিদ বিদ্যুতের ফেরিওয়ালারা নিরলসভাবে কাজ করছেন। গ্রাহকরা সকাল হলেই পেয়ে যাচ্ছেন বিদ্যুতের ফেরিওয়ালাদের। যারা ষ্পটে ওয়্যারিং সম্পন্ন করে তাদের কাছে আবেদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জামানতের অর্থ জমা দিলেই ৫ মিনিটের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎসংযোগ এবং এ কার্যক্রম পুরো রমযান মাস জুড়ে চলবে। তিনি আরো জানান, তিনি সরজমিন সাথে থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। তিনি আশাকরছেন এর মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবেন।