লাশের গাড়ি আটকে ‘পুলিশের চাঁদাবাজি’, সড়ক অবরোধ
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০১৯, ৫:০৪ অপরাহ্ণশ্রীমঙ্গল: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লাশবাহী গাড়ি আটকিয়ে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলগামী একটি লাশবাহী পিকআপভ্যানকে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বিলাসেরপাড় নামক স্থানে কাগজপত্র চেকিং করতে থামান হাইওয়ে পুলিশের সাতগাঁও ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মন্ডল।
শ্রমিকরা জানান, সেখানে ওই গাড়ীর ড্রাইভারের কাছ থেকে পুলিশ নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাঁদা দাবি করে এবং লাশবাহী গাড়িটি আটকে রাখে। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ীর দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক এর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
ওসি জানান, শ্রমিকদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।
ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহাজান মিয়া বলেন, নান্নু মন্ডলের নৈরাজ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আজ উনি যা করেছেন তা অমানবিক। আমরা এর তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে ওই রাস্তায় চলাচলকারী একাধিক গাড়ীর ড্রাইভার নান্নু মন্ডলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন।
ড্রাইভার পারভেজ মিয়া বলেন, প্রতিনিয়ত নান্নু মন্ডলের চাঁদাবাজির কারণে আমরা অতিষ্ঠ। তিনি এই রোডের প্রত্যেকটি গাড়ী জায়গায় জায়গায় আটকিয়ে চাঁদাবাজি করেন। চাঁদা না দিলে তিনি আমাদের মারধোর করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হাইওয়ে পুলিশ সাঁতগাও ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মন্ডল সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমাদের হাইওয়ে পুলিশের মূল দায়িত্ব নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা। এই কাজ করতে গিয়ে আমরা নানা ধরনের যানবাহন আটকে রাখি। এসব গাড়ী না ছাড়ার কারণেই তারা আমার উপর এ রকম ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে।