বীমা ব্যবসা করতে পারবে না ৩৪ ব্যাংক
পুবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:৩৬ অপরাহ্ণযেসব ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ৫ শতাংশ খেলাপি, তারা ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ বা বীমা ব্যবসা করতে পারবে না। একই সঙ্গে মূলধন সংকট, ক্রেডিট রেটিং গ্রেড-২-এর কম থাকা এবং টানা তিন বছর মুনাফা করতে পারছে না এমন ব্যাংক বীমা কম্পানির এজেন্ট হতে বা ব্যবসা করতে পারবে না। এর ফলে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি ৩৪ বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসায় অযোগ্য হবে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।
‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স প্রবর্তন করা হয়েছে। ব্যাংক কম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৭(১)(ল) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে সব তফসিলি ব্যাংক বীমা কম্পানির ‘করপোরেট এজেন্ট’ হিসেবে বীমা পণ্য বিপণন ও বিক্রয় ব্যবসা ১২ ডিসেম্বর থেকে করতে পারবে। ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ অর্থ ব্যাংক এবং বীমা কম্পানির মধ্যে একটি অংশীদারি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ব্যাংক তার গ্রাহকদের কাছে বীমা পণ্য বিপণন ও বিক্রয় করতে পারবে। এ জন্য অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে করপোরেট এজেন্ট লাইসেন্স নিতে হবে।
ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসা করতে হলে ব্যাংকের অবশ্যই ঝুঁকিবারিত সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণের অনুপাত বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেট রেশিও (সিআরএআর) সাড়ে ১২ শতাংশ থাকতে হবে। ব্যাসেলু-৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ক্রেডিট রেটিং গ্রেড-২-এর কম হলে বীমা ব্যবসা করতে পারবে না। মোট বিতরণ করা ঋণের ৫ শতাংশের বেশি খেলাপি হলে ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসায় অযোগ্য হবে। আর কোনো ব্যাংকে বীমা ব্যবসার জন্য আগ্রহী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দক্ষ ও উপযুক্ত জনবলের প্রত্যয়ন থাকতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশে ৬১টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৩৪টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি। এসব ব্যাংক বীমার করপোরেট গ্রাহক থেকে বাদ পড়বে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি এবং বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের খেলাপির কারণে গ্রাহক হতে পারবে না। অন্যদিকে ২৭টি ব্যাংকের খেলাপি ৫ শতাংশের কম হওয়ায় গ্রাহক হতে পারবে। তবে শর্ত অনুযায়ী, শরিয়াভিত্তিক মোট ১০ ব্যাংকের মধ্যে সাতটি এবং বিদেশি ৯টি ব্যাংকের মধ্যে সাতটি ব্যাংকাস্যুরেন্স হওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত।
এ ছাড়া ধারাবাহিকভাবে তিন বছরের মুনাফা করেছে এমন ব্যাংকের সংখ্যাও কম।