নীলফামারীতে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর ও সদর উপজেলার বোতলাগাড়ী ও কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের সংবাদকর্মীরা।
৮ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় নীলফামারী ডিসি পার্কের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আল ফারুক পারভেজ উজ্জ্বল। এতে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমেদ আবু জাফর।
এছাড়াও উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তবিবুর রহমান মানিক, নির্যাতিত সাংবাদিক নুরুল ইসলাম, নীলফামারী সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি স্বপ্না সুলতানা, মোতালেব হোসেন হক প্রমুখ। এতে অর্ধ শতাধিক সংবাদকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সাংবাদিক নুরুল ইসলাম তার উপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘নীলফামারী সদরের কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রউফ চৌধুরী চাল কম দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদকর্মীরা বিষয়টি যাচাই করতে কয়েকজনকে দেয়া ভিজিএফের চালের বস্তা ডিজিটাল স্কেলে পরিমাপ করেন। এতে উপকারভোগী প্রতি ১০ কেজি চালের মধ্যে ৫০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত কম পাওয়া যায়।’
‘এমন সময় চেয়ারম্যান এসে অতর্কিত সাংবাদিক নুরুল ইসলামের উপর চড়াও হয় এবং তার বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। মাটিতে পড়ে থাকাবস্থায় তার গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে বেধড়ক মারধর করে। চেয়ারম্যান এ সময় বলে, তোর এত সাহস আমার চুরি ধরতে এসেছিস। তোকে মেরেই ফেলবো। কবরে গিয়ে সাংবাদিকতা করিস। এই বলে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।’
‘সেখান থেকে বেরিয়ে আসলে চেয়ারম্যানের সাঙ্গপাঙ্গরা ঘিরে ধরে কিল ঘুসি মারতে থাকে। এসময় লিমন নামে চেয়ারম্যানের খাস চামচা বলে তোর রক্ত দিয়ে গোসল করবো। সাংবাদিকতা ছুটিয়ে দিবো। এখানে ব্যাপক মারপিট করায় আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে খবর পেয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ এসে আমাকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও এখনও আমি ঠিকভাবে ঘুমাতে ও খেতে পারছি না। বুকে ও সাড়া শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে।’
বক্তারা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ৫ দিনের সময় বেধে দেন। এর মধ্যে ওই দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এমপি, ডিসি ও এসপির প্রতি আহ্বান জানান। নয়তো আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।