ফেসবুকে অপপ্রচারের করায় কারাগারে হকার মাইনউদ্দিন
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৪, ৭:২০ অপরাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেছে নলছিটির স্থানীয় হকার মাইনউদ্দিন ও সাবেক ইউপি সদস্য হেমায়েত হোসেন ফজলুকে। জানা গেছে, হকার মাইন উদ্দিনসহ আসামীরা দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন ফেক আইডি থেকে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের ৬ নং সদস্য সাইফুল ইসলাম আকন ও তার স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে আসছে। এ ছাড়াও নিজেকে সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সরকারী কাজে বাধাদানসহ ফেসবুকে অপপ্রচার করছিল হকার মাইন উদ্দিন। হকার মাইন উদ্দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকেও তিনি ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে মানসম্মান খুইয়েছেন এতে ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হলে তিনি ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলাধীন দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি গ্রামের আজিজ খানের ছেলে খান মাইনউদ্দিন ওরফে হকার মাইনউদ্দিনকে ১ নং আসামী, স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওহাব হাওলাদারের ছেলে হেমায়েত হোসেন ফজলুকে ২ নং ইউসুফ হোসেন মৃধার ছেলে নাজমুল হোসেন বশিরকে ৩ নং শুক্কুর মৃধার ছেলে সুজন মৃধাকে ৪ নং ও শাকিল আহমেদকে ৫ নং আসামি করে গত—১৫ মে ২০২৩ইং তারিখে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৪৩/২০২৩ইং।
আসামীদের সবার বাড়ি দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠী গ্রামে। তারই ধারাবাহিকতায় আসামীরা গতকাল রবিবার আদালতে হাজির হলে সিআইডির দেয়া রিপোর্টে প্রমানিত হওয়ায় বিচারক মো: ফারুক হোসেন ৫ আসামীর মধ্যে ১ ও ২ নং আসামীকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন ও অপর ৩ আসামীকে বাদীর সাথে আপস করার শর্তে তাদেরকে জামিন দেন।
এর আগেও জুরকাঠীতে মোবাইল চুরির অপরাধে হকার মাইনউদ্দিনকে উত্তমমাধ্যম দেয়ার অভিযোগ আছে। এমনকি উত্তেজিত জনতার উত্তমমাধ্যম দেয়া একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বিদ্যুৎ চুরির দায়েও নলছিটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তা তার নামে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম আকন বলেন, হকার মাইন উদ্দিন বিভিন্ন লোককে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে সামাজিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। আর এটাই ওর পেশা। তিনি আদালতের কাঠে সঠিক বিচার চেয়েছেন।