মশা নিধনে নাগরিকদেরকেও সচেতন থাকতে হবে-মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুলাই ২০১৯, ৫:৩২ অপরাহ্ণনিউজ সর্বশেষ২৪রিপোর্ট: সারা দেশের মতো সিলেটেও মশক নিধক ও পরিচন্নতা সপ্তাহ কর্মসুচি পালন করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মহিলা কলেজের চারপাশে ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর আগে নগর ভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি নগরীর গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এর পরপরই নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে এক যোগে এ কর্মসুচি শুরু হয়।
চলমান একার্যক্রমে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, শুধুমাত্র ঔষধ স্প্রে করেই মশক নিধন করা সম্ভব নয়। এজন্য সম্মানিত নাগরিকদেরকেও সচেতন থাকতে হবে। বাসাবাড়ির আশেপাশে যাতে মশার বংশবৃদ্ধি না ঘটে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’ মেয়র বলেন, ‘নিজ নিজ এলাকার বাসা বাড়ি আঙিনা, ঝোপঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি পরিস্কার করে এবং মশার উৎপত্তি স্থলে মশার ঔষধ ছিটানোর কাজে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
আগামী এক সপ্তাহ এই মশক নিধন অভিযান চলবে জানিয়ে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, মশক নিধন অভিযান যথাযথভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ সেল গঠন করা হয়েছে।
মশক নিধন অভিযান যাতে কার্যকরী হয় সেজন্য পুরো কার্যক্রম সুচারুভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, নিয়ন্ত্রণ সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কর্মসুচি চলাকালিন সময়ে রোষ্টার ডিউটিও পালন করবেন। উর্দ্ধতন স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হক (০১৭১২-৫৩২৪০৯), সংরক্ষণ পরিদর্শক মো. ফখরুল আহমদ ৯০১৭১৪-৬০৯৮২৯) নিয়ন্ত্রণ সেলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব রয়েছেন। সেলের অন্য সদস্যরা হলেন, সিসিকের ডাটা এন্টি অপারেটর রূপক চন্দ্র মালাকার, সুপারভাইজার সেলিম আহমদ ও এহসান আহমদ সায়মন।
কর্মসুচি চলাকালীন সময়ে মশার ওষুধ ছিটানো কার্যক্রমে কোন ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবগত করতেও নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এসময় সিটি কাউন্সিলর আজম খান, মহিলা কাউন্সিলর নাজনিন আক্তার কনা, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আ ন ম মনসুফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, কর কর্মকর্তা চন্দন দাশ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ভুপাল রঞ্জন চন্দ সহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা- কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।