বণিক সমিতির সভাপতি হতে আহাদের দৌড়ঝাঁপ
পূবের হাওয়া ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০২১, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণস্টাফ রিপোর্টার :::
গোলাপগঞ্জের আলোচিত আবদুল আহাদ ওরফে নুর মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থা তদন্তে নেমেছে। প্রভাববিস্তার, থানায় দালালী, পল্লী বিদ্যুতের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে এসব তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গোলাপগঞ্জের সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আব্দুল আহাদ ওরফে নুর মিয়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দালাল হিসেবে চিহ্নিত। জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত থাকলেও তার গোপন রেখে মিশে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের সাথে আশেপাশে। বিএনপি, আওয়ামী লীগ যে দলই ক্ষমতায় থাকে তাদের সাথে মিশে থাকেন সবসময়। আর এই মিশে থাকার প্রধান উদ্দেশ্য থানার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখা। দীর্ঘদিন ধরে গোলাপগঞ্জের সদস্যবিহীন প্রেসক্লাবের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখে সভাপতি হিসেবে থানায় যাতায়াত করতে থাকেন তিনি। সম্প্রতি সাংবাদিক পরিচয়দানকারী একদল প্রতারককে নিজের করে নিয়ে অবস্থান তৈরির চেষ্টা করছেন। গত কয়েকদিন গোলাপগঞ্জের অপরাধজগৎ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে থানায় যাতায়াত বন্ধ করে দিলেও ফোনে কিংবা তার অনুসারীদের থানায় পাঠিয়ে নিজের পক্ষে সাফাই গাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। মাদক ব্যবসায়ীসহ নানা অপরাধে জড়িতদের বিভিন্ন নামে সংগঠন তৈরি করে পদ সৃষ্টি করছেন তিনি। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিজ্ঞাপনও নিজের কব্জায় নিয়ে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ আহমদ খান রোডে উপস্থিত আদর্শ বস্ত্র বিতানের ট্রেডলাইসেন্স করে নিজের নামে করেছেন। আদর্শ বস্ত্র বিতানের মূল মালিক আব্দুল আহাদের চাচাত ভাই হলেও ভাতিজা রাহিম আহমদ দোকান পরিচালনা করেন। বনিক সমিতির পদ ধরে রাখতে আদর্শ বস্ত্র বিতানের কাগুজে মালিক তিনি।
গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির প্রথম নির্বাচনে ব্যবসায়ীরা তার অপকৌশল ধরতে না পারায় সহজেই পার পেয়ে যান তিনি। আগামী এই মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে গোলাপগঞ্জ বণিক সমিতির নির্বাচন। এ নির্বাচনে তিনি সভাপতি প্রার্থী হয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল নিয়েছেন তিনি।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গোলাপগঞ্জের মতো একটি সুপরিচিত বাজারের বণিক সমিতি নাম করে আবদুল আহাদ লাখ লাখ টাকা উপার্জন করলেও কোনো ধরণের সরকারি কর দেওয়ার কথা কখনো শোনা যায় নি। তার আয়কর নথি প্রকাশ করাও জরুরী।
এ ব্যাপারে আবদুল আহাদ বলেন, আদর্শ বস্ত্র বিতানের ট্রেড লাইসেন্স আমার নামে। দোকান পরিচালনা করেন আমার আত্মীয়।